Monday, 12 August 2013

তিন বছরে ইন্টারনেট ট্রাফিক হবে চারগুণ

তিন বছরে ইন্টারনেট ট্রাফিক হবে চারগুণ
শামছুল হক রাসেল
তিন বছরে ইন্টারনেট ট্রাফিক হবে চারগুণ
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রযুক্তি। নিত্যনতুন উদ্ভাবনী বলে এগিয়ে যাচ্ছে এ সেক্টর। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ইন্টারনেটভক্তের সংখ্যা। বোদ্ধারা একে ইন্টারনেট 'বুম' বলে অভিহিতি করছেন। খুদে মোবাইল ইন্টারনেট পণ্য এবং ট্যাবলেট কম্পিটারের প্রভাবে আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে ইন্টারনেট ট্রাফিক চারগুণ হবে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ ২০১৬ সালের মধ্যে ইন্টারনেট ট্রাফিক ১.৩ জেটাবাইটস ব্যান্ডউইথড ছাড়িয়ে যাবে (এখানে ১ জেটাবাইটস মানে ১ ট্রিলিয়ন গিগাবাইটস। ২০১১ সালকে ভিত্তি বছর ধরে সাম্প্রতিক এক জরিপে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতের ইন্টারনেট বিশ্বে ভিডিও ফোনকল, ট্যাবলেট পণ্যে চলচ্চিত্র, ওয়েবনির্ভর টিভি এবং ডেস্কটপ ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যাপক চাহিদা তৈরি করবে। এর প্রভাবে বিপুল পরিমাণ (জেটাবাইটস) ইন্টারনেট ট্রাফিক (ব্যান্ডউইথড) প্রয়োজন হবে।
২০১৬ সালে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হবে। আর গড় ইন্টারনেট ট্রাফিকের ব্যান্ডউইথ চারগুণে পৌঁছবে। এ ছাড়া বিশ্ব গিগাবাইটের হিসাব ছাড়িয়ে পৌঁছে যাবে জেটাবাইটের কোটায়। আমাদের জীবনগতি প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় নিয়ামক ইন্টারনেট। একটা সময় শুধু তরুণ-তরুণীদের কাছে ইন্টারনেট জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু বর্তমানে ছোট বড়, তরুণ-তরুণী নির্বিশেষে যেকোনো বয়সের নারী-পুরুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের নিত্যদিনের কাজ কর্ম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষাও করে যাচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক ও টুইটার নিত্যনতুন প্রোগ্রাম চালু করে অনলাইন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। কেউ কেউ বলছেন এসব সাইট মানুষকে ইন্টারনেটমুখী করছে। এমনকি ঘরে বসেই কেনাকাটা করছে এ প্রজন্মের মানুষ। হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে গোটা বিশ্ব। আর সবই সম্ভব হচ্ছে ইন্টারনেটের কল্যাণে। ফলে এর প্রভাব পড়বে ইন্টারনেট বিশ্বে। ২০১৬ সাল নাগাদ আলাদাভাবে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক এক হাজার ৮৯০ কোটি সংযোগ ছাড়িয়ে যাবে। তখন প্রতিজনের জন্য গড়ে ২.৫টি ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ৩৪০ কোটি সংযোগের ইন্টারনেট গ্রাহক তৈরি হবে। অর্থাৎ বিশ্ব জনসংখ্যার ৪৫ ভাগ মানুষকে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কভুক্ত করবে এটি।
ইন্টারনেটের এ অগ্রযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে চলেছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে। ইতোমধ্যে দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলেও পেঁৗছে গেছে ইন্টারনেট সেবা। সব সেক্টরেই লেগেছে ইন্টারনেটের এ ছোঁয়া। এমনকি সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম থেকে শুরু করে বেসরকারি বিভিন্ন কার্যক্রমও সম্পন্ন হচ্ছে অনলাইন সেবার মাধ্যমে। এছাড়া ইন্টারনেটের এ অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করেতে নেওয়া হচ্ছে সময়পোযোগী ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন উদ্যোগ।

0 comments:

Post a Comment